খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধ মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। শনিবার (৫ মার্চ) গণমাধ্যম পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় সুজন বলেন, করোনা মহামারির কারণে দুই বছর ধরে মানুষের আয় রোজগার প্রায় নিম্নমুখী। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আগের চেয়ে অনেকাংশে কমে গিয়েছে। এ অবস্থায় খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধ সাধারণ ক্রেতার জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা। যারা প্রতিদিন ছটাক ছটাক তেল কিনে রান্নার কাজে ব্যবহার করে এ সিদ্ধান্তের ফলে তারা কিভাবে চলবে সে প্রশ্ন আজ মানুষের মুখে মুখে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কী একটুও চিন্তা করেনি তাদের জন্য। মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়বে দেশের নিম্ন শ্রেণির ভোক্তার উপর। আর প্রতিবার বোতলজাত তেল ক্রয় করার সময় ভোক্তাকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে। এতে নিশ্চিতভাবে তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে পরিশোধিত এবং অপরিশোধিত তেলের দাম কতো তা কখনোই একজন ভোক্তা জানতে পারে না। অবশ্যই আন্তর্জাতিক বাজারের দর ভোক্তাকে জানাতে হবে। খোলা সয়াবিন এবং পাম তেলের গুণগত মান নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। তেলের গুণগত মানের কথা বলে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধ করার আগে দেশের নিম্ন আয়ের জনগণের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন হবে।
 
নাগরিক উদ্যোগের এ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের বড় কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে নামীদামী কোম্পানিগুলো তেলের সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। যা সরকার বিরোধী চক্রান্তের সামিল। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে তারা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এসব চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করতে হবে। না হলে আমরা বুঝব মন্ত্রণালয় তাদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন এবং পাম তেলের গুণগত মান নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় রেখে ভোজ্য তেলের মিনি প্যাক বাজারজাত করতে হবে। 

এছাড়া খোলা ভোজ্যতেল বন্ধের নামে গ্রাহকদের উপর যাতে অতিরিক্ত খরচের বোঝা না চাপে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানান খোরশেদ আলম সুজন।

কেএম/আইএসএইচ