শিশুদের কিডনি রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে শিশু হাসপাতালের সভাকক্ষে এ সভার আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লা।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ ও অধ্যাপক ডা. সমীর কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. রঞ্জিত রঞ্জন রায়, অধ্যাপক ডা. নওশাদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম এবং শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. রিজওয়ানুল আহসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লা বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বিশ্ব কিডনি দিবস। কিডনিতে কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসবেন। প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগ শনাক্ত করা গেলে তার প্রতিকার সম্ভব।

শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২০২১ সালে এক হাজার ৪৫৯ জন শিশু কিডনি রোগ নিয়ে ভর্তি হয়। তার মধ্যে ৯ শতাংশ শিশুর কিডনি তুলনামূলক কম কাজ করে। তাদের মধ্যে ২ শতাংশ শিশু মারাও গেছে। বাকিরা নিয়মিত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে।

শিশু ন‍্যাপ্রোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শিরিন আফরোজ বলেন, শিশুদের কিডনির জটিল সমস্যা হলে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব। এতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। সচেতনতার ফলে শিশু ভালো থাকবে। এতে চিকিৎসা ব্যয় কমে যাবে। সচেতন না হলে কিডনি রোগের চিকিৎসায় শিশুর জন্য বছরে সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা ব্যয় হবে। আর কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। সবার পক্ষে এ অর্থ ব্যয় করা সম্ভব নয়। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠান শেষে কিডনি রোগে আক্রান্ত শিশুদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এসএএ/ওএফ