নিজস্ব উদ্যোগে কার্যকর পয়োবর্জ্যের ব্যবস্থা করতে হবে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ২০২২ সালের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি পর ২০২৩ সালের মধ্যেই রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের নিজস্ব উদ্যোগে বাসাবাড়িতে কার্যকর পয়োবর্জ্যর ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।

সোমবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী চলমান ‘নিরাপদ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, লেক-খালগুলো দূষিত, বৃষ্টির পানি নামার সাধারণ নর্দমা দিয়ে মানুষের পয়োবর্জ্য খালে-লেকে গিয়ে পতিত হয়। এটা রাজধানী বাসীর জন্য বিরাট স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না। নির্দিষ্ট সময়ের পর খালে বা সার্ফেস ড্রেনে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগ পাওয়া গেলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসি আওতাধীন খালসমূহকে ২০২৪ সালের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক খালে রূপান্তর করা হবে। এটি করতে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা। জনসচেতনতা তৈরি করে এটি করতে হবে। লেক-খালগুলোকে আমরা রোগ জীবাণু ছড়ানোর কারখানায় পরিণত করতে পারি না। বিগত সময় আমরা জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খাল থেকে পাওয়া বাসাবাড়ির পরিত্যক্ত বর্জ্যের প্রদর্শনী করেছি, আমার এর পুনরাবৃত্তি চাই না। প্রাণের শহর ঢাকার খালগুলো ডাস্টবিন বানানো যাবে না।

মেয়র আরও বলেন, পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সংযুক্ত করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সমস্যা সমাধান সম্ভব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র প্রধান অতিথিকে নিয়ে স্টলগুলো পরিদর্শন করেন এবং স্টল পরিদর্শন শেষে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।

প্রধান অতিথি বলেন, স্টলগুলো প্রদর্শন করে আমার মনে হয়েছে আধুনিক প্রক্রিয়ায় আমরা নিরাপদ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে ঢাকা শহরের পরিবেশকে রক্ষা করতে পারব। যারা নিজ দায়িত্বে অ্যাট সোর্সে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে তাদেরকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার করা প্রয়োজন।

সাংবাদিক মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, ইউনিসেফের ওয়াশ বিভাগের প্রধান জাইদ জুরজি, রাজউকের চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা প্রমুখ।

এএসএস/আইএসএইচ