ইউক্রেন ও রা‌শিয়ার ম‌ধ্যে চলমান যুদ্ধ প‌রি‌স্থি‌তির কার‌ণে বিশ্বে তেল সরবরাহের বিষয়ে কোনো উদ্বেগ নেই ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ঢাকা সফররত সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ। 

বুধবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক আলোচনা (পলিটিক্যাল কনসালটেশন) শেষে সাংবা‌দিক‌দের মু‌খোমু‌খি হ‌য়ে তিনি এ কথা বলেন। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ও রিয়াদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় এ আলোচনা শুরু হয়।

সৌ‌দি পররাষ্ট্রমন্ত্রী‌ বলেন, আমি যা বলতে পারি, তা হলো আমরা একটি স্থিতিশীল তেলের বাজারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বে তেল সরবরাহের বিষয়ে কোনো উদ্বেগ নেই।

আল সাউদ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সৌদি আরব গর্বিত। সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। রাজনৈতিক সংলাপে চমৎকার আলোচনা হয়েছে। অনেক বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দুই দেশের ভবিষ্যৎ রূপকল্প নিয়ে আমাদের মধ্যে সাযুজ্য রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, নিজেদের অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বৈশ্বিক ক্ষেত্রেও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।

তিনি বলেন, দুই দেশের অংশীদারত্ব কীভাবে বিস্তৃত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌদি আরবের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বাংলাদেশে কয়েকশ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। আমরা শক্তিশালী ভিত্তির ওপর আরও ব্যাপকতর অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। 

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৌ‌দি আশাবাদী জা‌নিয়ে আল সাউদ বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত সৌদি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও আমরা বাংলাদেশ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করছি। আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে। আমাদের অংশীদারদের নিয়ে আমরা সেই সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করার জন্য কাজ করতে চাই।

প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর শুল্ক খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চু‌ক্তি এবং বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাদশা ফয়সাল ইনস্টিটিউটের ম‌ধ্যে সহযোগিতা স্মারক সই ক‌রে‌ছে বাংলা‌দেশ ও সৌ‌দি আর‌ব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার দুপুরের পর তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

এনআই/জেডএস