রাজধানীর কদমতলী থানার পলাশপুরের স্কুল গলিতে দেনার চাপে নূরনবী বেপারী (৩৭) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নূরনবী বেপারীর ছোট ভাই ফয়সাল আহমেদ বেপারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাই মোবাইল এক্সেসরিজের ব্যবসা করতেন। করোনার সময় তার ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। এছাড়া তিনি ব্যবসার কাজে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ধার নিয়ে শোধ করতে পারেননি। এ জন্য সবসময় পাওনাদারদের চাপে থাকতেন তিনি।  গতকাল সকালে তিনি সবার অগোচরে আত্মহত্যা করেন।

তিনি আরও বলেন, গতকাল সকালে আমার বাবা-মা বিক্রমপুর থেকে ঢাকায় আসেন। বাসার চাবি মায়ের কাছে ছিল। সকালে বাসায় ঢুকে মা দেখেন আমার ভাই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ওড়না কেটে তাকে নিচে নামায়। আমার ভাইয়ের দুই সন্তান, একজনের বয়স ৭ বছর আরেকজনের বয়স ৪০ দিন। ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ভাবি বগুড়ায় তার বাপের বাড়ি ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাছেদ মুন্সি ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে গভীর রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠাই।

তিনি আরও জানান, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনার সময় ব্যবসা বাণিজ্য ভালো ছিল না। তাছাড়া তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এসব বিষয় নিয়ে নূরনবী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এজন্য তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলেন প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এসএএ/এসকেডি