বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ। বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯১টি সদস্য দেশ প্রতি বছর দিবসটি পালন করে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অন্য বছরগুলোর মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম আগাঁরগাওয়ে পর্যটন ভবনে দিবসটির উদ্বোধন করেন। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় এবং অনুসরণীয় বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করাই দিবসটির মূল লক্ষ্য। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ-দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আবহাওয়া, পানি ও জলবায়ুর তথ্য’।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে আবহাওয়া, পানি ও জলবায়ুর পরিবর্তন সংক্রান্ত দুর্যোগের প্রভাবে মানুষের জীবন, সম্পদ ও ভৌত অবকাঠামো প্রভাবিত হয়ে থাকে। আবহাওয়া, পানি ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগের প্রভাব মোকাবিলায় আবহাওয়া ও জলবায়ুর আগাম পূর্বাভাস, সতর্কতা প্রদান, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও মোকাবিলায় আবহাওয়া ও জলবায়ুর আগাম পূর্বাভাস ও সতর্কতা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিই হলো এ বছরের প্রতিপাদ্যের মূল উদ্দেশ্য।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সদর দপ্তরসহ গুরুত্ব অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন শাখা অফিসে দিবসটি সীমিত আকারে পালন করা হয়। এ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও প্রামাণ্য চিত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসাধারণের পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মূল গেটসহ অফিস চত্বর বিভিন্ন রকমের আলোর মাধ্যমে সজ্জিত করা হয়। অধিদপ্তরীয় আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা একটি সাইন্টিফিক সেশনের আয়োজন করেন। দিবসটি উপলক্ষে দেশের বহুল প্রচারিত বাংলা ও ইংরেজি দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে।

এছাড়া ঢাকা, কক্সবাজার, খেপুপাড়া, রংপুর ও মৌলভীবাজারের অপারেশনাল ইউনিট ও রাডার স্টেশনে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।

এআর/এসএসএইচ