২০০০ সালে মো. আনোয়ার হোসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী আলতাফুন ওরফে আলতা বেগমকে (২৫) পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই দিনাজপুরের বাসিন্দা আনোয়ার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় করা একটি মামলায় ২০০৫ সালে আনোয়ারকে স্ত্রীর হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক থাকা আনোয়ারকে গত ২২ বছরেও গ্রেপ্তার করতে পারেন পুলিশ।

সবশেষে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) নজরদারির জালে আটকা পড়েন আনোয়ার। এটিইউ ও দিনাজপুর জেলা পুলিশের সমন্বিত একটি দল বুধবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে আনোয়ারকে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বহু বছর ধরে পরিচয় গোপন করে স্ত্রী হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার রাজধানী খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করছে। স্থানীয় একটি স' মিলে সে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে এটিইউ'র পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় আনোয়ারকে খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানার রাজারামপুর গ্রামে। সে ২০০০ সালে তার দ্বিতীয় স্ত্রী আলতা বেগমকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।  হত্যাকাণ্ডের ৫ বছর পর তাকে আদালত যাবজ্জীবন সাজা দেন। কিন্তু সে গত ২২ বছর ধরে পরিচয় লুকিয়ে আত্মগোপনে ছিল। পরে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে তাকে দিনাজপুর পুলিশের একটি টিমকে সঙ্গে নিয়ে গ্রেপ্তার করে এটিইউ।

গ্রেপ্তারের পর আনোয়ারকে দিনাজপুর জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এমএসি/জেডএস