পরিবারের সঙ্গে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু/ ছবি : সংগৃহীত

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি। 

তিনি বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করেই সন্ত্রাসীরা স্থান ত্যাগ করে। 

বৃহস্পতিবার, (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন তিনি।

ফারহানা ইসলাম ডলি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা টি অ্যান্ড টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ খন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, টিপু ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার বুকে একাধিক গুলি করা হয়। যারা এটা করেছে তারা পরিকল্পিতভাবে করেছে। আমরা সত্যিকারের একজন অভিভাবককে হারালাম। এমন মৃত্যু সহ্য করা আমাদের জন্য কঠিন।

এর আগে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর বাগিচায় নিজের বাসায় ফেরার পথে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সামিয়া আফরান প্রীতি নামে বদরুন্নেসা কলেজের এক ছাত্রীও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) আবদুল আহাদ বলেন, দুর্বৃত্তরা টিপুকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ। 

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৬ জুন রাজধানীর গুলশানে খুন করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে। জাহিদুল ইসলাম টিপু যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। যদিও পরে তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি পান।

এসকেডি