সহজে টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি, ভোগান্তি চরমে

সার্ভার ডাউনসহ বিভিন্ন কারিগরি জটিলতায় নতুন নিয়মে ট্রেনের টিকিট দিতে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। ফলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে তৈরি হয়েছে লম্বা সারি।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট প্রত্যাশীদের চাপ বাড়ে। কিন্তু টিকিট দিতে সময় লাগায় স্টেশনে লম্বা সারি তৈরি হয়।

টিকিট ধীরগতিতে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ইতি ধর রাত ৯টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ নতুন করে সহজের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে, তাই টিকিট বিক্রি ধীরগতিতে হচ্ছে। সফটওয়্যারটা নতুন, এছাড়া নতুনভাবে অপারেশন করা হচ্ছে। তাই বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। টিকিট পেতে কিছুটা সময় লাগছে। তিন ঘণ্টা পরে আসা করি ঠিক হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, টিকিট কিন্তু সন্ধ্যা থেকেই দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু অপারেশনটা নতুন, কাজটা আমাদের লোকজনের জন্যও নতুন। তাই টিকিট দিতে দেরি হচ্ছে।

এদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি টিকিট কাউন্টারে লম্বা সারি। এমনকি টিকিট কাউন্টারে পৌঁছার পরও হাতে টিকিট পেতে ৪ থেকে ৫ মিনিট সময় লাগছে। এতে করে স্টেশনে লম্বা সারি তৈরি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন টিকেট প্রত্যাশীরা। তারা বলছেন, টিকিট চাওয়ার পর সার্ভার ডাউন হয়ে হাওয়াসহ বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটির কথা বলছেন রেলওয়ের লোকজন।

মাইন উদ্দিন নামে এক যাত্রী সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৬টার দিকে টিকিট নিতে এসেছি। আড়াই ঘণ্টা পার হয়ে গেছে এখনও টিকিট পাইনি।

মো. জাবের নামে এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৬টা বাজার আগেই টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। রাত ৮টার দিকে কাউন্টার থেকে টিকিট পেয়েছি। আগামীকাল (শনিবার) ঢাকা যাওয়ার টিকিট পেয়েছি আমি।

তাপানুকুল ১ম শ্রেণির টিকিট কাউন্টারের সামনে কথা হয়ে তানভীর নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়েছি। অনলাইনে সন্ধ্যা থেকে টিকিট দেওয়া শুরু হলে টিকিট দেওয়ার গতি অনেক কমে যায়। যার কারণে টিকিট পেতে দেরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনসহ দেশের ৭৭টি স্টেশনে শুরু হয়েছে সহজের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি। এ দিন কম্পিউটার ব্যবহার করে দেওয়া হচ্ছে ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ তারিখ পর্যন্ত চলাচলকারী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।

বাংলাদেশ রেলওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২৫ তারিখ যাত্রা করা ট্রেনের টিকিট হাতে লিখেই দেওয়া হবে। এ দিন যাত্রা করা ট্রেন ২৬ তারিখ যেসব স্টেশনে থামবে সেখান থেকেও এর টিকিট দেওয়া হবে হাতে লিখে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে আরও জানা গেছে, ২৬ তারিখ থেকে হাতে লিখে টিকিট বিক্রি শেষ হওয়ার পাশাপাশি শুরু হবে অনলাইনে টিকিট বিক্রি।

কেএম/এসএসএইচ