শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ বাড়ানোসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বেসরকারি ও অলাভজনক উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।

রোববার (২৭ মার্চ) হাজারিবাগের বালুর মাঠ এলাকায় আয়োজিত এক কমিউনিটি সচেতনতা র‌্যালি থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বারসিকের অন্য ২টি দাবি হচ্ছে- জাতীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটিতে শহরের প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মীদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা এবং নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা।

র‌্যালির আগে এক সভায় বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপ্রধান হোসনে আরা বেগম রাফেজা বলেন, আমরা বস্তিবাসীরা বিভিন্নভাবে বঞ্চিত। আমাদের নাগরিক হিসেবেই এই শহরে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। আমরা মানুষ হিসেবে বাঁচতে চাই। বস্তিবাসীরা এই করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সংকটে নিমজ্জিত। আমাদের সিবিও সদস্যরা বারবার বিভিন্ন দাবিতে ঢাকাকলিং প্রকল্প থেকে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি। সম্প্রতি আমরা সংসদীয় কমিটির কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু আমাদের খুব কম দাবিই বাস্তবায়ন হয়। আমরা চাই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার পৃথক বাজেট ও বরাদ্দ দিক। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কাপের ম্যানেজার মাহবুবুল হক, কমিউনিটি মবিলাইজার সাবিনা নাঈম, কামরুন নাহার প্রমুখ। ইউএসএইড এবং এফসিডিওর অর্থায়নে এবং কাউন্টার পার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় ‘ঢাকাকলিং’ কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের আওতায় বারসিক এ আলোচনা সভা ও র‌্যালির আয়োজন করে।

পরে বস্তিবাসীর মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা, র‌্যালি, ক্যানভাসে স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত কাপের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা কলিং এর মনিটরিং ও ডকুমেন্টেশন অফিসার ফারহা হাদিয়া, বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপ্রধান হোসনে আরা বেগম রাফেজা, সহ-সভাপ্রধান হারুন অর রশিদ, হেনা আক্তার, রুপালী বেগম প্রমুখ। 

এমএইচএন/জেডএস