বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি
বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন।
বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল।
বিজ্ঞাপন
লিখিত বক্তব্যে মোস্তফা কামাল জানান, বেসরকারি কলেজগুলোতে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সাড়ে ৫ হাজার অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে জনবলে অন্তর্ভুক্ত না করায় তারা দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সরকারি সুযোগ সুবিধার (এমপিও) বাইরে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয় না। করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত নামমাত্র বেতনটুকুও না দেওয়ায় শিক্ষকরা জীবন-জীবিকার কঠিন সমীকরণে আটকে গেছে। একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকরা ক্যাডার/নন-ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, ডিগ্রী তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষকরা জনবলে না থাকার পরেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরাও এনটিআরসিএর সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না, যা চরম বৈষম্যের।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর থেকে পেশাগত দাবি আদায়ের জন্য অনেক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পরেও আজ পর্যন্ত সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত। সর্বজন স্বীকৃত সত্য যে, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাধ্যমে শিক্ষা সেক্টরের অনেক বৈষম্য কমেছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত সারাদেশের মাত্র ৫ হাজার ৫০০ শিক্ষক এখনও এমপিওভুক্তির বাইরে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের একাধিক নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত নবম ও দশম সংসদের স্থায়ী কমিটির সুপারিশ এবং জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর অধ্যায় ০৮-এ বর্ণিত উচ্চশিক্ষার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্ত করা অত্যন্ত যৌক্তিক ছিল। বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে প্রতিমাসে ১২ কোটি, বছরে ১৪৪ কোটি টাকার বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ হলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়, জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
বিজ্ঞাপন
দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আগামী ২৭ এপ্রিল প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। ১৬ মে সকাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি করা হবে। এমপিওভুক্তির সমস্যা সমাধানের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত ওই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/ওএফ