রেলওয়ে কোয়ার্টারের ৬৪৭ ইউনিট বহিরাগতদের দখলে!
বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮৫ কোয়ার্টারের ৭৮৭ ইউনিটের ৬৪৭টি ইউনিটই বহিরাগতদের দখলে। প্রভাবশালীরা কোয়ার্টার ছাড়াও রেলওয়ের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে কোয়ার্টারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযানেও মিলেছে এমন অভিযোগের সত্যতা। শুধু তাই নয় কোয়ার্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বক্তব্যেও অসহায়ত্ব ফুটে উঠে এসেছে। বুধবার (৩১ মার্চ ) বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নূর আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ আদনান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুদক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও দখলদারদের জিজ্ঞাসাবাদে রেলওয়ের কোয়ার্টার দখল, অবৈধ স্থাপন নির্মাণ ও লিজিং সম্পত্তি রিনিউ না করে দীর্ঘদিন দখলে রাখার সত্যতা পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দুদক সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের যােগসাজশে সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের সরকারি কোয়ার্টার অবৈধভাবে দখলে রাখার অভিযােগের সত্যতা যাচাইয়ের দুদক সরেজমিন অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করে দেখা যায়, সান্তাহার রেলওয়ে জংশন কর্তৃপক্ষের অধীনে ১৮৫ কোয়ার্টারে মােট ৭৮৭টি ইউনিট রয়েছে। ওই ৭৮৭ ইউনিটের মধ্যে ১৪০টি ইউনিট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ দিয়েছে। অবশিষ্ট ৬৪৭টি ইউনিট স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে।
এ প্রসঙ্গে কোয়ার্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী দুদক টিমকে জানান, কোয়ার্টারগুলাে দেখাশােনার প্রয়ােজনীয় জনবল নেই ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের কথা বললে, তারাই বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেন।
তিনি আরও বলেন, রেলওয়ের কোয়ার্টার ছাড়াও রেলওয়ের জমি দখল করে অনেকেই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে আছেন এবং রেলওয়ের লিজিং সম্পত্তিগুলাে রিনিউ না করে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও দখলদারদের জিজ্ঞাসাবাদে রেলওয়ের কোয়ার্টার দখল, অবৈধ স্থাপন নির্মাণ ও লিজিং সম্পত্তিগুলাে রিনিউ না করে দীর্ঘদিন দখলে রাখার সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা।
আরএম/এসকেডি