দেশের বেকারত্ব দূর করতে যুব সমাজের আত্মমর্যাদা সম্পন্ন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বুধবার (৩০ মার্চ) বনানীর গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ (ভিএসও) আয়োজিত একটি সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম বলেন, যুব সমাজের বেকারত্ব দূর করার জন্য আত্মমর্যাদা সম্পন্ন কর্মসংস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকার কাজ করছে। আমাদের সবার উচিত বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া।

সেমিনারে আয়োজকরা জানান, যুব সমাজে বেকারত্ব দূর করতে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া যুব কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় যুব বান্ধব এবং স্থানীয়ভাবে পেশা নিশ্চিত করতে একটি শ্রমবাজার বিষয়ক গবেষণা করা হয়। গবেষণাটি ২০১৮ সালে একজন ডাচ গবেষক রংপুর বিভাগে পরিচালনা করেন।

ভিএসওর প্রকল্প ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে যুবদের কর্মসংস্থান প্রকল্প শুরু করে ভিএসও। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয়ভাবে সম্ভাবনাময় পেশার জন্য দক্ষ জনসম্পদ এবং মর্যাদা সম্পন্ন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্থানীয় এলাকায় যুবদের কর্মসংস্থানে উৎসাহিত করা। এছাড়া গ্রাম থেকে শহরমুখী প্রবণতা কমানো। ফলে জেলা ও বিভাগীয় শহরে প্রকল্পের আওতাধীন ৯৮ শতাংশ যুবদের কর্মসংস্থান হয়েছে।

ভিএসওর অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর খাবিরুল হক কামাল বলেন, প্রকল্পের আওতায় ৮৬টি যুব সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের ৩ হাজার ১৭৪ জন স্থানীয় যুবকরা যুব সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রকল্পের আওতায় যারা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মর্যাদাসম্পন্ন কর্মসংস্থানে আগ্রহী তাদেরকে নির্বাচিত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। যারা পেশার মাধ্যমে নিজ বাড়ির কাছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছেন।

তিনি আরও বলেন, ১২টি বিষয়ে ৬৪৭ জন যুব কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর মধ্যে ৯৩ শতাংশ কারিগরি প্রশিক্ষণ সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট বিভাগ দিয়েছে। ৭৬ জন যুবক সফলভাবে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা সনদ অর্জন করেছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যুবকরা ব্যবসা শুরুর পুঁজি পেয়ে অন্যদেরকেও উৎসাহিত করছে। ৬০৮ জন যুব মর্যাদাসম্পন্ন কর্মসংস্থানে সম্পৃক্ত যার মধ্যে ৪৫ শতাংশই নারী এবং যাদের জনপ্রতি মাসিক গড় আয় ৮ হাজার ৪ টাকা।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর ডো-ইয়ংআ, আইএলও বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার সাইফ মোহম্মদ মইনুল ইসলাম ইনডেপথের গবেষক এস এম ইমতিয়াজ ভূঁইয়া প্রমুখ।

এএসএস/আইএসএইচ