চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নে খাল দখল ও ভরাট করে স্থাপনা তৈরি ও পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অপরাধে মো. ফয়জুল্লাহকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে শিলকূপ ইউনিয়নের মোহাব্বত আলী পাড়ায় বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, খালে অবস্থিত কালভার্টের নিচে ও সামনের দিকে পুরোপুরি ভরাট করে ফেলে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন ফয়জুল্লাহ। এছাড়া খালের ওপর তিনি স্থাপনা তৈরি করেছেন। পাবলিক ইজমেন্ট দখল করায় স্থানীয় জনগণের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছিল। স্থানীয় জনগণ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযানকালে খাল দখল ও ভরাট করে স্থাপনা তৈরি ও পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি খাস জমি ও পাবলিক ইজমেন্টসহ অবৈধভাবে জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পাবলিক ইজমেন্ট দখল করে খাল ভরাট না করার জন্য বারবার নির্দেশনা সত্ত্বেও তিনি খাল ভরাট করেছন। যা সরকারি আদেশ অমান্য করা। ফলে তাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বাঁশখালীর মোহাব্বত আলী পাড়ার পূর্ব দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া শীলকূপ খালটি জালিয়াখালী খালের সঙ্গে যুক্ত। এ খাল দিয়ে বর্ষাকালে পূর্ব-মনকিচর এলাকার অধিকাংশ চাষির ও মোহাব্বত আলীপাড়ার ৫ শতাধিক পরিবারের পানি নিষ্কাশন হয়। এটি একমাত্র বিকল্প খাল। ফয়জুল্লাহ নামে ওই ব্যক্তি পাকা ভবন নির্মাণ করছিলেন খালটিতে। এতে এলাকাবাসী বাধা দিলে উল্টো হুমকি-ধমকি দেন তিনি। তিনি এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা কিছু করতে পারছিল না। আজ খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেন। 

কেএম/এসকেডি