ভুয়া কোম্পানির ডিলারশিপ দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করত তারা
ভুয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির ডিলার নিয়োগের নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ।
পল্লবী থানায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার (৪ এপ্রিল) রাতে তেজগাঁও থানাধীন কাওরান বাজারের শাহ আলী টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পল্লবী জোনাল টিম।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আকাশ, অমরেশ চন্দ্র ঘোষ, কফিল উদ্দিন চৌধুরী ও তরিকুল ইসলাম ওরফে রবিন।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মোস্তফা কামাল জানান, গ্রেপ্তাররা ফেসবুকে ‘পূর্বাচল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড’ নামক ভুয়া কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রচার করে। বিজ্ঞাপন দেখে টাঙ্গাইলের শফিকুল ইসলাম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে গ্রেপ্তাররা ভুক্তভোগী শফিকুলের সঙ্গে ডিলারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের কথা বলে ভিকটিমের কাছে থেকে ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এরপর গ্রেপ্তাররা কোম্পানির অফিস ও যোগাযোগের নম্বর পরিবর্তন করে ফেলে। এরপর গত বছরের ১৫ নভেম্বর ভুক্তভোগী পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলাটির তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম। মামলা তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় তেজগাঁও থানার কাওরান বাজারের শাহ আলী টাওয়ার হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে মো. মোস্তফা কামাল বলেন, গ্রেপ্তাররা ভুয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির ডিলার নিয়োগের নামে সংঘবন্ধ প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা আলিবাবা ফুড, বৈশাখী ফুড, শাহজালাল ফুড, ইসলামী ফুড ও ডাচ বাংলা ফুড নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ রিমান্ড আবেদনসহ মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, কী পরিমাণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে এসব তথ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জেইউ/আইএসএইচ