উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ৬৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নাটোরের লালপুর বিলমাড়িয়া মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিলমাড়িয়া মহাবিদ্যালয়ের অভিভাবক মো. মাইনুল ইসলাম নাটোর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগে তিনি বলেন, বিলমাড়িয়া মহাবিদ্যালয়ের ২০২০ ও ২০২১ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ফরম পূরণ করার পর বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে সশরীরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এর পরপরই রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ২০২০ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করা ছাত্র-ছাত্রীদের অটোপাস ও ২০২১ সালে সম্পূর্ণ বিষয়ের পরীক্ষা না-হওয়ার কারণে বোর্ড কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া ২০২০ সালের ২৭ হাজার ৯৭৫ টাকা এবং ২০২১ সালের ৪১ হাজার ৪৮ টাকাসহ মোট ৬৯ হাজার ২৩ টাকা ফেরত দিয়ে চেক দেওয়া হয়।

ওই টাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম (আসামি) ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এমনকি গত ৬ জানুয়ারি গভর্নিং বডির সব সদস্য বিলমাড়িয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের কাছে ছাত্র-ছাত্রীদের পাওনা অর্থ দাবি করলেও তা দিতে অস্বীকার করেন। আদালতের নির্দেশনায় দুদকের অনুসন্ধানেও এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেছে। মো. রেজাউল করিম বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন।

আরএম/জেডএস