দেশে সড়ক মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের ৮৩ শতাংশ গ্যাসোলিনে (অকটেন/পেট্রোল) চলে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটিকে এ তথ্য জানানো হয়। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে কমিটিকে অবহিত করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ৪৯ লাখ ৯১ হাজার ৭৫টি যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে গ্যাসোলিন (অকটেন/পেট্রোল) চালিত ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫৬টি (৮৩%), ডিজেলচালিত ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮২টি, সিএনজিচালিত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪০টি, এলপিজিচালিত ৬ হাজার ২৭৮টি, দ্বৈত জ্বালানি চালিত ৩২ হাজার ২৪৬, ইলেকট্রিক মোটরড্রাইভ ৪০টি, ডিজেল/সিএনজি ১৫৮টি এবং কেরোসিনচালিত ৭৫টি।

এদিকে দেশের গণপরিবহনের মধ্যে ৭৯ শতাংশ ডিজেল ও ১০ শতাংশ সিএনজিতে চালিত হয়। গ্যাসোলিনচালিত ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫৬টি যানবাহনের মধ্যে ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮৮টি মোটরসাইকেল (৮৪%)। অন্যান্য জ্বালানি চালিতসহ দেশে মোট মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮টি।

প্রতিবেদনের তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে বাস রয়েছে ৪৯ হাজার ৮৩৯টি। এর মধ্যে গ্যাসোলিনচালিত ৫ হাজার ১৪০টি, ডিজেলচালিত ৩৯ হাজার ৫০৩টি, সিএনজিচালিত ৫ হাজার ১২১টি, এলপিজিচালিত ৫টি, দ্বৈত জ্বালানিচালিত ৬৬টি এবং ডিজেল/সিএনজিচালিত ৪টি। সিএনজিচালিত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫০টি যানবাহনের মধ্যে ২ লাখ ১২ হাজার ৩৫৬টিই অটোরিকশা। সিএনজিচালিত যানের ৮৯ শতাংশই অটোরিকশা।

দেশে ৭৫টি যান চলে কেরোসিনে

প্রতিবেদনের তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ৭৫টি গাড়ি হয়েছে যেগুলো কেরোসিনে চলে। এর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স ১টি, অটোরিকশা ১৬টি, কার ৭টি, ডেলিভারি ভ্যান ১টি, হিউম্যান হলার ১টি, জিপ ২টি, মোটরসাইকেল ৪টি, পিকআপ ৩৬টি, ট্যাংকার ১টি, ট্রাক ৩টি, বিশেষ কৌশলগত যান ১ ও অন্যান্য ২টি।

দেশে জ্বালানি তেলের ব্যবহার ৬৩ লাখ টন

এদিকে সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে মোট জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয়েছে ৬২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩০ টন। এর মধ্যে ডিজেলের ব্যবহার হয়েছে ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৫ টন। কৃষি সেক্টরে ডিজেলের ব্যবহার ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬০৪ টন। যা মোট জ্বালানি ব্যবহারের ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

কৃষিতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমছে

বৈঠকের কার্যপত্র অনুযায়ী কৃষি খাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৯ লাখ ৫ হাজার ৬২৩ টন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে। যা ওই অর্থবছরে মোট ব্যবহৃত জ্বালানির ১৫.৩৮%। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১০ লাখ ৯০ হাজার ৯০৩ টন (১৫.৭০%); ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৬ টন (১৬.৪২%); ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৭৫২ টন (১৮%) এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬০৪ টন (১৫.৪৯%) জ্বালানি ব্যবহার করা হয়।

কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, এস. এম জগলুল হায়দার, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম, মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস।

এইউএ/এসকেডি