প্রবীণদের জন্য আকাশপথ, নৌপথ ও স্থলপথে পাঁচ শতাংশ সিট বরাদ্দ করতে হবে। নগর পরিবহনের প্রতিটি বাসে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের ন্যায় প্রবীণদের জন্য কমপক্ষে চারটি সিট বরাদ্দ রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেনস ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় এসব দাবি ওঠে।

আলোচকরা বলেন, সিনিয়র সিটিজেনরা এখনও নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাস্তা পারাপারে সহযোগিতা প্রবীণদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে করার আইন প্রণয়ন করতে হবে। যেভাবে অন্ধ নারী ও শিশুদেরকে রাস্তা পারাপার করিয়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশ ঠিক একইভাবে এই আইন প্রবীণদের জন্য কার্যকর করতে হবে।

তারা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটক স্পটে প্রবীণদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আলাদা আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে তাদের পর্যায়ক্রমে নিয়ে অবসর সময় কাটানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হবে। আগামী বাজেটে প্রবীণদের জন্য বিশেষ থোক বাজেট বরাদ্দ দিলে তারা উপকৃত হবেন।

আলোচকরা বলেন, ৬০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণদের জন্য বয়স্কভাতা নিশ্চিত করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে তাদের ভাতা ব্যাংকের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন, ঠিক একইভাবে বয়স্কভাতা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রত্যেক প্রবীণ যেন নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, প্রবীণদের সম্মান করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা যে যেখানেই আছি, একদিন সবাই প্রবীণ হব। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সুন্দর ও উন্নত ঢাকা গড়ে তুলতে সমাজের সব শ্রেণি-পেশা ও বয়সী মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। 

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মেছবাহুর রহমান চৌধুরী, বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এম শমশের আলী প্রমুখ।

এএসএস/আরএইচ