মোশারফ হোসেন, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক। গত ১৭ এপ্রিল বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে নগরীর কলেজ গেট থেকে একটি মেট্রো সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করেন। জামান হোটেলের সামনে এলে কিছু জিনিস কিনতে নামেন তিনি।

ভাড়া করা সিনএনজিতে রেখে আসেন নিজের ব্যাগটি। যেখানে ছিল টাকা, ফাইল ও চেকবই। এই সুযোগে ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান সিএনজি চালক। পরে মোশারফ হোসেন বিষয়টি বায়েজিদ থানা পুলিশকে অবহিত করেন।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে সিএনজিটি শনাক্ত করা হয়। পরে সিএমপির তৈরি ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ ডাটাবেজের  মাধ্যমে সিএনজির মালিক এবং চালককে শনাক্ত করা হয়।

আজ দুপুরে সিএনজি থেকে সরকারি কর্মকর্তার ফেলে যাওয়া শিক্ষা বোর্ডের মূল্যবান নথি, দাপ্তরিক ফাইল, চেকবই, দাপ্তরিক সীলমোহর এবং নগদ ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। সব মালামাল মোশাররফ হোসেনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম নগরে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীদের নিরাপত্তায় নতুন কার্যক্রম চালু করে পুলিশ।

চট্টগ্রাম নগর ট্রাফিক পুলিশ জানায়, অ্যাপটির জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও তার মালিক-চালকের জাতীয় পরিচয়পত্র, গাড়ির নিবন্ধন সনদ, ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট, ড্রাইভিং সনদ ইত্যাদি তথ্য সার্ভারে জমা রাখা হয়। প্রত্যেকের জন্য আলাদা একটি কিউআর কোড ও আইডি দেওয়া হয়, যা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঝোলানো থাকে। যাত্রীরা এই আইডি বা কিউআর কোড স্ক্যান করে অটোরিকশার চালক ও মালিক সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন। অটোরিকশাটি নগর পুলিশের ভ্যারিফায়েড কিনা, তাও যাত্রীরা বুঝতে পারবেন।

কেএম/এমএইচএস