নিউ মার্কেট এলাকার নূরজাহান ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটে শিক্ষার্থীদের আগুন দেওয়ার খবরে ব্যবসায়ীরা আবারও বিক্ষুব্ধ হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেছেন। অন্যদিকে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু কাঁদানে ও টিয়ারশেল গ্যাস নিক্ষেপ করছে। ইতোমধ্যে ঢাকা কলেজের সামনের সড়ক, নূরজাহান মার্কেটের সামনের অংশ টিয়ার শেল ছুড়ে ফাঁকা করেছে পুলিশ।

টিয়ার শেলে টিকতে না পেরে দৌড়ে সরে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ প্রতিবেদন লেখার সময় মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। তখন থেমে থেমে গলি ও বিভিন্ন আবাসিক, একাডেমিক ও মার্কেটের ভবন থেকে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ব্যবসায়ী সমিতি কামরাঙ্গীরচর থেকে আনা টোকাইদের দিয়ে হামলা করাচ্ছে। শিক্ষকরা সমঝোতার জন্য গেলেও হামলা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে।

সোমবার রাতের সংঘর্ষের জেরে সকাল থেকে নিউ মার্কেট এলাকা ও নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে সাইন্স ল্যাবরেটরি থেকে আজিমপুর পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চলতে থাকে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এ ঘটনা শুরুতেই শেষ হয়ে যেত যদি পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা মিলে হামলা-গুলি না ছুড়ে সমঝোতায় আসতেন।

সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ‘কথা-কাটাকাটির জেরে’ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।

জেইউ/এসএসএইচ