ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম

টেকনিক্যাল কারণে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ নমনীয় হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের আগে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সাংবাদিকরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে জানতে চান- রাতে ঘটনা ঘটল। তাহলে পুলিশ কেন আরও আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়নি। জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রদের মোকাবিলায় পুলিশের বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা লাগে। এটা সাধারণ কোনো গেদারিং নয় যে, গুলি করে তাদের সরিয়ে দিলাম। ছাত্ররা তাদের ১০ তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, শ্রমিকদের বুঝিয়ে মার্কেটে ঢোকানোর চেষ্টা করছি। আইজিও কথা বলেছেন ডিসির সঙ্গে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো একটা পক্ষকে নিবৃত্ত করা। কিন্তু আশপাশের শ্রমিকরাও নেমে পড়েছে।  

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, এখান থেকে ঘটনাটি যত সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে তা নয়, জটিল আকার ধারণ করেছে। শুধু নিউমার্কেট  নয়, চারপাশের সব মার্কেটের লোকজন নেমে পড়েছেন। যেখান থেকেই খবর পাচ্ছি, সেখানেই পুলিশ পাঠাচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, টেকনিক্যাল কারণে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ নমনীয় হবে। সাধারণভাবে গুলি করে বা শক্তি প্রয়োগ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বুদ্ধির কাজ না। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি (পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য)।

সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ‘কথা-কাটাকাটির জেরে’ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।

এরপর মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে আবারও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে তাদের ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। ছাত্রদের অনেকে হেলমেট পরে হাতে লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। 

এসএইচআর/আরএইচ