বিআইডাব্লিউটিএর নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করছে না। আবার যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মতো আদায় করছে বেশি ভাড়া।  

বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অভিযান চালিয়ে এ প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ অপরাধে তিনটি লঞ্চকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর মধ্যে ঈগল-৭ লঞ্চকে ১০ হাজার টাকা, প্রিন্স শাকিল-৬ লঞ্চকে ৩ হাজার টাকা এবং এম ভি পুবালী-১ লঞ্চকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  

অভিযানগুলো পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।
 
আবদুল জব্বার মণ্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদ যাত্রায় লঞ্চে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করা হয় এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিয়ষটি তদারকি করতে আজ আমরা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাই। এসময় দেখা যায় বেশিরভাগ লঞ্চ বিআইডাব্লিউটিএ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করছে না। আবার অনেকে নির্ধারিত মূল্যর চেয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছে। এসময় তিনটি লঞ্চকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

তিনি বলেন, অভিযান শেষে বিআইডাব্লিউটিএ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা সহজে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করা করতে বলা হয় একই সঙ্গে বেশি ভাড়া না নেওয়া এবং লঞ্চে সক্ষমতার চেয়ে অধিক যাত্রী না উঠানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কোনো লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যদি বেশি দামে টিকিট বিক্রি করে তাহলে ভোক্তা হটলাইন ১৬১২১ নাম্বারে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রমাণসহ ইমেইল, ডাক, কুরিয়ার সার্ভিস ও সরাসরি অধিদপ্তরে অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা।

এসআই/আইএসএইচ