নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ জুন আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক), একটি উপজেলা পরিষদ, ছয়টি পৌরসভা ও ১৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি এসব নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্রের তালিকা চেয়েছে ইসি। ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে তফসিল ঘোষিত এলাকার সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ তথ্য চেয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

চিঠিতে ইসি জানায়, আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, গোপালগঞ্জ, সিলেট, রাঙ্গামাটি, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন, গুইমারা, খানসামা, লালপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ ও মদন উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ/উপ-নির্বাচন ইভিএম/ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী আগামী ১২ মে’র মধ্যে কুমিল্লা সিটি ও পৌরসভা এবং উপজেলা ও ইউপি’র ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করে দুই প্রস্থ ভোটকেন্দ্রের তালিকা (সফট কপি) বিশেষ দূত মারফত পাঠাতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে ইসি আরও জানায়, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে যতদূর সম্ভব ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ/সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকক্ষ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভবনের অবকাঠামোর অভ্যন্তরে ভোটকক্ষ স্থাপন করা গেলে সেক্ষেত্রে অস্থায়ী ভোটকক্ষ স্থাপনের প্রস্তাব করে ভোটকেন্দ্রের তালিকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা যথাসম্ভব ভোটকেন্দ্রগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করবেন এবং ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন, নতুন ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ স্থাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে প্রত্যয়ন দেবেন।

উল্লেখ্য, ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও কক্ষের ভোটার সংখ্যা বিদ্যমান ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা অনুযায়ী রাখার প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার জন্যও চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, কুমিল্লা সিটি, ছয় পৌরসভা, এক উপজেলা পরিষদ ও ১৩৫ ইউপিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মে, আপিল দায়ের করা যাবে ২০-২২ মে, আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৩-২৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন।

এসআর/এসএসএইচ