চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত দেশের প্রথম ইয়াবা উদ্ধার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি এমরান হককে রাজধানীর বনানী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে র‌্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এমরান হককে (৪৮) গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ জানান, ২০০২ সালের ১৯ ডিসেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে গুলশানের নিকেতন এলাকা থেকে হিরোইন, ইয়াবা ও নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম শেষে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এমরান হকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

বিচার কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ বিশেষ দায়রা জজ আদালত চলতি বছরের গত ৩১ মার্চ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এজাহার নামীয় শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন ও তদন্তে প্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত এমরান হক ও সোমনাথ সাহাসহ ৪ জনকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এমরান হক ও সোমনাথ সাহা পলাতক হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চাঞ্চল্যকর মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে ও আজ এমরান হককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০০২ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালত হতে জামিনে মুক্তি পায়। পরবর্তীতে ওই মামলায় ২০০৪ সাল হতে পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তার এমরান ও তার সহযোগীরা মূলত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ থেকে লাগেজের মাধ্যমে নেশা জাতীয় ইয়াবা বাংলাদেশে আনা শুরু করেন। 

তারা মূলত গুলশান, বনানী, বনশ্রীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতেন। গ্রেপ্তার এমরান ২০১৮ সালে বনানী থানার একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয় যা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তার এমরানকে ডিএমপির গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেইউ/ওএফ