সদরঘাটে যাত্রীদের ভিড়, কেবিন যেন সোনার হরিণ
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। যাত্রীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন নৌ-পুলিশসহ বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকে সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার দিকে ভিড় আরও বেড়ে যায়। তাদের সামলানোর চেষ্টা করছেন দায়িত্বরতরা।
বিজ্ঞাপন
যাত্রীদের অনেকেই ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। তারা দুর্ভোগ ও বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন। তাদের অভিযোগ ইদের যাত্রা বলে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কেবিন পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
সদরঘাটে কথা হয় শাওন নামে বরিশালগামী এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চের ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে আমরা ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে গেলেও এখন ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কেবিন নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু কোনোভাবেই ব্যবস্থা করতে পারিনি। কেবিন যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে।
ভাড়া ও কেবিনের বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল রুটের লঞ্চ এম. ভি. ফারহানের এক কর্মচারী জানান, সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে, অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে না। ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম কেবিন বুকিং করে রাখেন অনেকে। তাই যারা অগ্রিম বুকিং করে আসেননি তাদের আমরা কেবিন দিতে পারছি না।
লঞ্চের কর্মকর্তারা জানান, করোনার কারণে গত কয়েকটি ঈদে লঞ্চ মালিকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদেরও ক্ষতি হয়েছে। তবে এবার যাত্রী বেশি আছে। তাই আগের দুই ঈদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুসরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যসহ যাবতীয় নিয়ম মেনে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকারি-বেসরকারি অফিস ছুটির পর বৃহস্পতিবার থেকেই মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন। আজ শিল্পকারখানা পুরোদমে ছুটি হয়েছে। তাই যাত্রীর চাপ বেড়েছে। আজকের পর ঘরমুখো মানুষের চাপ কমে যাবে। যাত্রীদের চাপ সামলাতে দায়িত্বরতরা নিয়োজিত রয়েছেন।
এসআর/আরএইচ