রাজধানীর প্রগতি সরণি হয়ে টঙ্গি থেকে সদরঘাট রুটে চলাচল করে ভিক্টর ক্লাসিক বাস। বাসের কন্ডাক্টর সাইফুল ইসলাম সাইদ প্রতিদিন সদরঘাট থেকে টঙ্গি রুটে তিনটি ট্রিপ (আসা-যাওয়া) দেন। কিন্তু আজ দুপুরে অর্থাৎ ঈদের আগের দিনের ফাঁকা শহরে ৫টি ট্রিপ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন সাইদ।

সড়কের এমন পরিস্থিতি দেখে উৎফুল্ল সাইদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েকদিন রাস্তায় যানজট এতটাই তীব্র ছিল যে বিমানবন্দর থেকে বাড্ডা পৌঁছাতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগত। অথচ এখন ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে সদরঘাট যাওয়া যাচ্ছে। আর বিমানবন্দর থেকে বাড্ডা যেতে লাগছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। শহরের অবস্থা যদি সবসময় এমনই থাকতো তাহলে বাস ভাড়া আরও কিছুটা কমালেও আমাদের পুষিয়ে যেত।

গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) থেকে সাপ্তাহিক ছুটি, ১ তারিখ মে দিবস এবং ৩০ রমজানের হওয়ার কারণে সবমিলে জন্য সোমবার পর্যন্ত বিশাল ছুটিতে প্রায় এক কোটি মানুষ। তাই সড়কে নেই আগের মতো কোলাহল, নেই হর্নের শব্দ।

সোমবার নগরীর বিমানবন্দর, খিলখেত, বনানী, মহাখালী, বাড্ডা, রামপুরা, শান্তিনগর পল্টন এবং গুলিস্তান এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ রাস্তাঘাটই ফাঁকা, যানজটমুক্ত। অধিকাংশ সিগন্যালেই নেই ট্রাফিক পুলিশ, প্রয়োজনও হচ্ছে না। রাজধানীর অধিকাংশ ভিআইপি সড়কে রিকশা ও ভ্যানগাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।

দেখা গেছে, সড়কে প্রাইভেটকার আর মোটরসাইকেল রাজত্বই ছিল বেশি। এর সঙ্গে আছে বেশকিছু লোকাল বাস। যদিও যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর রিকশার সংখ্যা কমে গেছে রাজধানীজুড়ে।

মিরপুর ১০ নম্বর থেকে বাংলামোটর এসেছেন উবার রাইডার হাসান আল আরশ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাধারণত মিরপুর থেকে মোটরসাইকেলে বাংলামোটর-শাহবাগ যেতে প্রায় ১ ঘণ্টার মতো লেগে যায়। আজ লাগল মাত্র ১৩ মিনিট। যানজট না থাকায় বাসগুলো খুব বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছে। ফাঁকা ঢাকার জন্য এটি একটি বড় ঝুঁকি।

অন্যান্য দিনগুলোর মতো আজ সরব ছিল না গাবতলী বাস টার্মিনাল। বাসগুলোর কাউন্টার ছিল ফাঁকা। কমলাপুর স্টেশনেও ছিল না লোকজনের জট।

উল্লেখ্য, ঈদের আগে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস ছিল। এবার সাপ্তাহিক ছুটি, মে দিবস এবং ঈদের ছুটি মিলিয়ে টানা ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। অন্যদিকে আগামী ৪ মে বুধবার ঈদের ছুটি শেষ হলেও যারা ৫ মে বৃহস্পতিবার ছুটি নেবেন তারা পরের শুক্র-শনিবারসহ মোট ৯ দিন ছুটি কাটাতে পারবেন।

এআর/এমএইচএস