রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে ডায়রিয়া সংক্রমণের হার কিছুটা কমে এসেছে। তবে দৈনিক আক্রান্ত হয়ে উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা এখনও পাঁচ শতাধিকের ওপরেই রয়েছে।

১ মে, ঈদের ছুটিসহ মে মাসের শুরুতেই এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৪১১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) আইসিডিডিআর,বির জনসংযোগ শাখার সিনিয়র ম্যানেজার তারিফুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে গত ১ মে ৬৩১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরপর ২ মে ৫৫৯ জন, ৩ মে ৪২৯ জন, ৪ মে ৬৪১ জন এবং আজ (৫ মে) সকাল দশটা পর্যন্ত ১৫১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তারিফুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য সবার ঈদের ছুটি থাকলেও আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা ডায়রিয়া প্রকোপ মোকাবিলায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে এলেও ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

আইসিডিডিআর,বির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েনটিস্ট ডা. শোয়েব বিন ইসলাম বলেন, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে। গত কিছুদিনে যদি আমরা হাসপাতালে ভর্তির তথ্য উপাত্ত দেখি, তাহলে দেখা যায় যে, দৈনিক সংক্রমণ এখন ৫০০ থেকে ৬০০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে।

রোগীর সংখ্যা যদি ৫০০ এর নিচে চলে আসে, তাহলে সেটিকে স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে শুরু করেছে বলে ধরে নেওয়া যাবে, যোগ করেন এই চিকিৎসক।

জানা গেছে, মার্চের মাঝামাঝি থেকেই দেশে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। গত ১৬ মার্চ সর্বপ্রথম এক হাজার ৫৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তির খবর জানিয়েছিল আইসিডিডিআর,বি। এর পরদিনই (১৭ মার্চ) আরও এক হাজার ১৪১ জন রোগী ভর্তি হন। এরপর রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। গত ৪ এপ্রিল রেকর্ড সংখ্যক ১ হাজার ৩৮৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।

তবে ৮ এপ্রিলের পর হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তির সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকে। এরপর ১৪ এপ্রিল দীর্ঘ একমাস পর হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এক হাজারের নিচে নেমে আসে।

টিআই/জেডএস