চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আজও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

শুক্রবার (৬ মে) ঈদের পর সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিন হওয়ায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সকাল থেকেই ভিড় করেন নানা বয়সী মানুষ।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্যটন কেন্দ্রে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানে ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আজ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রায় ৫০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। ভিড়ের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে অভিভাবকদের সঙ্গে আসা ৫ জন শিশু হারিয়ে গিয়েছিল। তাদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে কোনো মাদক ব্যবসায়ী কিংবা মাদক সেবনকারী ঢুকতে পারেনি। মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাও ঘটেনি। বিক্রেতারাও পর্যটকদের হয়রানি করতে পারেননি। এ বছর পতেঙ্গা সৈকতে স্পিডবোট চালক, ক্যামেরাম্যান ও দোকানিদের মাধ্যমে কোন পর্যটক হয়রানির শিকার হননি।

নুর নাহার নামে এক পর্যটক দুই মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোন ঝামেলা ছাড়াই অনেকদিন পরে দুই মেয়েকে নিয়ে পতেঙ্গা সৈকত ঘুরে এসেছি।

সোহেল রানা নামে আরকে পর্যটক কুমিল্লা থেকে এসেছেন চট্টগ্রামে বোনের বাসায় বেড়াতে। বিকেলে ঘুরতে এসেছেন ভাগনাকে নিয়ে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথমবারের মতো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আসলাম। অনেক ভালো লাগছে। 

কেএম/এসকেডি