‘অশনির’ প্রভাব নেই চট্টগ্রামে
এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব পড়েনি বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। স্বাভাবিক রয়েছে বন্দর ও বহিনোঙ্গরের কার্যক্রম। সতর্কতা অবলম্বনে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে মাছ ধরার নৌকাগুলো।
আজ মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল ৯টার পর থেকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় ১২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চগ্যা ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এখন বৃষ্টি নেই। তবে আগামী দুই-তিনদিন থেমে থেমে মাঝারি থেকে মাঝারি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
অশনির বিষয়ে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনি আজ সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি কেন্দ্রের আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোনো বৃষ্টি হয়নি। তবে মাঝেমধ্যে মেঘের আড়ালে সূর্যের আলো ডাকা পড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ও বহিনোঙ্গরের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া অনেক মাছ ধরার নৌকা উপকূলে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। দামপাড়া কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষটি চালু করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর- ০৩১-৬৩০৭৩৯ ও ০৩১-৬৩৩৬৪৯।
এর বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে (বুলেটিন-১২) জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় অশনি আজ সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
কেএম/এমএইচএস