করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লাখ ৮৫ হাজার খামারি পাবেন প্রণোদনা
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত চার লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬ খামারিকে আর্থিক প্রণোদনা দেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চার লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬ খামারিকে আগামীকাল (১৭ ফেব্রুয়ারি) মোবাইল ব্যাংক ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আর্থিক প্রণোদনা দেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের সংকট মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সংকট মোকাবিলায় ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার চলমান কার্যক্রম গতিশীল করা এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে প্যাকেজ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে কোনোভাবেই গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলেও ওই সভায় সতর্ক করেন মন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক ঋণ সহায়তা প্রকল্প এলডিডিপি-এর আওতায় ইমার্জেন্সি রেসপন্স হিসেবে পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের জন্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক মূল্যের পোল্ট্রি ও ডেইরি খাদ্য, দুধের ক্রিম সেপারেটর মেশিন, কুলিং ভ্যান ও জীবাণুনাশক স্প্রে কেনাসহ নগদ প্রণোদনার জন্য বিশ্ব ব্যাংকে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা ও খামারিদের আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যাংক বা এনজিও থেকে গৃহীত ঋণের কিস্তি ও সুদ এক বছরের জন্য মওকুফ, দুই হাজার কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা এবং বিনা সুদে ও সহজ শর্তে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা সংকটে কোনোভাবেই মুরগির বাচ্চা, মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য, ভ্যাকসিন উৎপাদন, পরিবহন ও আমদানিতে ঘাটতি রাখা যাবে না। চিংড়িসহ অন্য মাছের পোনা উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখতে হবে। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত সমস্যা সার্বক্ষণিকভাবে সমাধান করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এসএইচআর/এমএআর