জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি নারীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

সোমবার (৯ মে) রাতে আইভরি কোস্টের ফার্স্ট লেডি ডোমিনিক ওউতাতারার আয়োজনে দেশটির শহর আবিদজানে অনুষ্ঠিত ‘মরুকরণ মোকাবিলায় জাতিসংঘ কনভেনশনের (ইউএনসিসিডি)’ ১৫তম সম্মেলনে জেন্ডার ককাসের উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি নারীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এর ফলে তাদের জীবন ও জীবিকা হারাতে হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে নারীদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে।

সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের সুরক্ষায় অনেক কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জীবনের সবক্ষেত্রে নারীদের সমান সুযোগ দেওয়া হয়েছে। লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বিভিন্ন নীতি, আইন ও নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে। সরকার জাতীয় বাজেটে জেন্ডার বাজেট প্রবর্তন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এখন দেশের অনেক শীর্ষ পদে নারীরা অধিষ্ঠিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে, যা দেশের ভূমি ক্ষয়ের মতো গুরুতর সমস্যা প্রশমনে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে এটি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বৈশ্বিক এজেন্ডাকে সমর্থন করবে।

এ প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক সহযোগিতা চেয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিশেষ করে নারীদের অবস্থার উন্নতির জন্য ইউএনসিসিডি সচিবালয় ও গ্লোবাল মেকানিজমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।

জেন্ডার ককাসে আইভরি কোস্টের ফার্স্ট লেডি ডোমিনিক ওউতাতারা ও জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল আমিনা মোহাম্মদ নারী ও পুরুষের ওপর মরুকরণ, ভূমির অবক্ষয় এবং খরার বিভেদমূলক প্রভাবগুলোর ওপর একটি নতুন গবেষণা প্রকাশ করেন।

ভূমি অবক্ষয়িত হলে নারী ও মেয়েরা যে অসমান প্রভাবের সম্মুখীন হয় এবং সুযোগ পেলে, কীভাবে তারা বিশ্বব্যাপী ভূমি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকতে পারে সে বিষয়ে গবেষণাটি আলোকপাত করেছে।

এসএইচআর/এসকেডি