বিক্রি না করে অবৈধভাবে ১২ হাজার ৮২২ লিটার সয়াবিন তেল মজুত করায় চার ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একইসঙ্গে মজুত করা তেল আগের দামে বিক্রি করা হয়।

বুধবার (১১ মে) গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও মো. শরিফুল ইসলাম।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান, বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাজীপুর জেলার টঙ্গী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় টঙ্গী বাজারের মেসার্স তাহের অ্যান্ড সন্স থেকে আগের দামে ৬ হাজার ৭৩২ লিটারের খোলা সয়াবিন ও পাম তেল এবং মেসার্স নোয়াখালী বাণিজ্য বিতান থেকে পুরানো দরের ৫ হাজার ৯১৬ লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম তেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা তেল উপস্থিত আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে (১ লিটার ১৬০ টাকা, ২ লিটার ৩১৮ টাকা এবং ৫ লিটার ৭৬০ টাকা) এবং খোলা সয়াবিন ১৪৩ টাকা ও পাম ১৩৩ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি  প্রতিষ্ঠান দুটিকে এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

একই দিন ঢাকার আশকোনা হাজি ক্যাম্প সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে দুটি প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে মজুত করা বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। এ সময় যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করে মজুত করা এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রির অপরাধে মেসার্স জননী এন্টারপ্রাইজ ও টিটু অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ৫০ হাজার টাকা কারে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধভাবে মজুত করা বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের দামে বিক্রি করা হয়। সব মিলিয়ে অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং অবৈধভাবে মজুত করা  ১২ হাজার ৮২২ লিটার ভোজ্যতেল আগ্রহী ক্রেতাদের মাঝে পূর্বের দরে বিক্রি করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। 

এসআই/এসকেডি