১৪ বছর পর অফিস-ফ্যাক্টরি আবারো ক্রয়ে বাধ্যের অভিযোগ
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সে পজেশন নেওয়া অফিস ও ফ্যাক্টরি অবৈধভাবে তালা লাগিয়ে পুনরায় অতিরিক্ত টাকা আদায় ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. মান্নান মিয়া।
রোববার (১৫ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ওই শপিং কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মো. মান্নান মিয়া।
বিজ্ঞাপন
লিখিত বক্তব্যে মান্নান মিয়া বলেন, ২০০৮ সালে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের ৫০০ স্কয়ারের বর্গফুটের দুটি এবং ১ হাজার ১৫ বর্গফুটের দ্যা ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পজিশন ক্রয় করি। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে দ্যা ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড কোম্পানিকে পাওয়ার দেওয়া হয়। তারা আমাদের টাকা নিয়ে চুক্তিপত্র প্রদান করে। এ চুক্তিপত্রের দলির পাওয়ার পর থেকে আমি দোকান ভোগ-দখল করে আসছি।
তিনি বলেন, নিয়ম মেনে মাসিক জমিদারি ভাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু বর্তমানে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের পরিচালনা পরিষদে যারা আছেন তারা নতুন করে ৬ হাজার টাকা বর্গফুট দাম নির্ধারণ করে নতুন করে আবারো ক্রয় ও চুক্তিপত্র দলিল নিতে বলেছেন।
বিজ্ঞাপন
মান্নান মিয়া বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার (১২ মে) মার্কেটের ১০ তলায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। পুরো ১০ তলায় পজিশন কেনা সব দোকানে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ১০ তলায় আমার অফিস ও ফ্যাক্টরির মূল ফটক তালা দিয়ে রাখা হয়েছে।
মান্নায় মিয়া অভিযোগ করেন, বর্তমান মার্কেটের কেয়ারটেকার শাহজাহান মিয়া কয়েকজন লোক নিয়ে তাকে হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে কারও কাছে কোনো অভিযোগ করলে তাকে খুন ও গুম করার হুমকি দেন তিনি। এজন্য আমি জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে শাহজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি জিডি করেছি।
মান্নান মিয়া বলেন, এ সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এবং ডিএমপি মতিঝিল জোনের ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো সহায়তা পাইনি। বিষয়টি সুরাহা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
এনআই/ওএফ