দীর্ঘ সাড়ে নয় ঘণ্টার অপারেশনে অবশেষে শঙ্কামুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় আসামির দায়ের কোপে কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া সেই পুলিশ কনস্টেবল। 

রোববার (১৫ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ আল-মানার হাসপাতালে বিকেল ৫টা থেকে রাত ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত টানা ৯ ঘন্টা ৪০ মিনিট অস্ত্রোপচার শেষে কনস্টেবল জনি খানের হাতের কবজি জোড়া লাগানো হয়।

সোমবার (১৬ মে) বেলা ১২টায় ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির অপারেশন্স ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শাখার পরিচালক ডা. মো. শহিদুল্লাহ।

তিনি বলেন, অপারেশনটি আমাদের জন্য খুবই জটিল ছিল। একটা মানুষের সম্পূর্ণ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাওয়া হাতে অনেকগুলো অংশ থাকে, সেগুলোকে আলাদা করে সিরিয়ালি বের করতে হয়েছে। এরপর ৮ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় পর্যন্ত অপারেশনটি করতে হয়েছে। এর আগে অপারেশন পূর্ববর্তী আরও এক ঘন্টা সময় লেগেছে। সবমিলিয়ে সাড়ে নয় ঘন্টার অধিক সময় লেগেছে।

ডা. মো. শহিদুল্লাহ বলেন, রোগী এখন পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত। কিছুক্ষণ আগেই আমি দেখেছি যে, তার হাতের স্বাভাবিক রং চলে এসেছে। নার্ভ যেগুলো জোড়া দেওয়া হয়েছে, সেগুলোরও ফাংশন চলে আসতে শুরু করেছে। হাতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় হাতেও উষ্ণতা চলে এসেছে।

রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত এমন যেসব রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছি, তারা প্রত্যেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। আশা করছি তিনিও শিগগিরই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজেদুর রেজা ফারুকীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যদের চিকিৎসক দল এই অস্ত্রোপচারে অংশ নিয়েছেন। তারা হলেন, হাসপাতালটি প্লাস্টিক সার্জন ডা. হাসান নাজিরুদ্দীন সুমন, ডা. শাকেরা, অ্যানেসথেসিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আলাউদ্দীন ও ডা. মোস্তফা কামরুল ইসলাম।

টিআই/আইএসএইচ