গত ১০ মে থেকে কামরাঙ্গীচর এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, কামরাঙ্গীচর এলাকায় তিতাস গ্যাসের বৈধ গ্যাস সংযোগ আছে প্রায় ১২ হাজার। তবে খসড়া হিসেব মতে অবৈধ সংযোগ প্রায় ৩৬ হাজার। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযানে নেমেই বেঁধেছে বিপত্তি। ফলে ১০ মে থেকে আজ ৬ দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে ওই এলাকায়।

এদিকে ছয় দিন ধরে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় বাসা বাড়ির রান্না বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি হোটেল রেস্টুরেন্টেও পাওয়া যাচ্ছে না খাবার। এ অবস্থায় সোমবার (১৬ মে) দুপুরে কামরাঙ্গীচরের পূর্ব রসুলপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে তিতাস গ্যাসের এমডির পদত্যাগ চেয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে কামরাঙ্গীচর এলাকার বাসিন্দা শরিফুজ্জামান বলেন, আজ ৬ দিন হলো আমাদের পুরো এলাকায় গ্যাস সরবরাহ নেই। আমরা তো মানুষ, আমাদের পরিবার, স্ত্রী, সন্তান আছে। কিন্তু বাসায় কোন রান্না হয় না গ্যাস না থাকার কারণে। বাইরে হোটেল থেকে যে খাবার কিনে আনব তারও সুযোগ নেই, কারণ গ্যাস না থাকায় হোটেলগুলোও বন্ধ। আর এলাকার বাইরে থেকে খাবার কিনে আনার মতো সামর্থ্য এ এলাকার মানুষ নেই। 

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া আরেকজন সাইদুর রহমান বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে করুক, কিন্তু যারা বৈধভাবে গ্যাস নিয়েছে তাদেরটাও বন্ধ কেন? আমরা এলাকাবাসী কি না খেয়ে থাকব? আমরা তো এখানে ভাড়া বাসায় থাকি, নিয়মিত বাসা ভাড়া, গ্যাস বিল দিই, তাহলে কেন আমাদের বাসায় রান্না বন্ধ থাকবে? অবৈধ যেসব গ্যাস সংযোগ আছে সেখান থেকেও তো তিতাস গ্যাসের কোন কোন অসাধু কর্তা টাকা নেন। গ্যাস সংযোগ ফিরিয়ে আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ করে না দিতে পারলে আমরা তিতাসেরর এমডির পদত্যাগ চাই।

তিতাস গ্যাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কামরাঙ্গীচর এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে বলেন, ওই এলাকার বৈধ ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ দিন ধরে গ্যাসের বিল পরিশোধ করছেন না। তারা বলছে তারা গ্যাসের চাপ পাচ্ছেন না। সে কারণে তারা গ্যাসের বিল দেবেন না। কামরাঙ্গীচরে বৈধ ১২ হাজার গ্রাহকদের কাছে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে এই সমস্যার একটা সমাধানের পথ বের করা হবে। তিতাস গ্যাস এ বিষয়ে কাজ করছে।

জানা গেছে, কামরাঙ্গীচর এলাকায় ১২ হাজার বৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার। অবৈধ সংযোগের কারণে বৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীরা পর্যাপ্ত গ্যাসের সরবরাহ পেতেন না। বারবার বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য বলা হলেও এলাকাবাসী তা আমলে নেয়নি।  

এএসএস/এসকেডি