অতিবৃষ্টি হলেও আধা ঘণ্টার মধ্যেই জলাবদ্ধতা থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১৮ মে) পিডিবি পাওয়ার হাউস সংলগ্ন শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলের ঈগলু পয়েন্ট এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, এ শিল্পাঞ্চলের ২৬টি ও পুরো ঢাকাব্যাপী একশর বেশি স্থান চিহ্নিত করেছি। সেখানেও নিজস্ব অর্থায়নে এরকম বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করেছি। সুতরাং এবার আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, এই অবকাঠামো উন্নয়নের সুফল ঢাকাবাসী পাবে।

তিনি বলেন, আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ রয়েছে, কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। নর্দমার মুখগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা রয়েছে, কালভার্ট ও খাল আমরা পরিষ্কার করেছি। ভূগর্ভস্থ যে নর্দমা রয়েছে সেগুলো আমরা পরিষ্কার করেছি। সুতরাং আমরা আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী যে অতিবৃষ্টি হলেও ইনশাআল্লাহ ঢাকাবাসীকে আধা ঘণ্টার মধ্যেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম হব।

আগামী বছর থেকে শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে আর জলাবদ্ধতা হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ৫৮ ও ৫৯ ওয়ার্ড জুড়ে যে শিল্পাঞ্চল রয়েছে তাতে জলাবদ্ধতা ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই নিজস্ব অর্থায়নে ১৩৬ কোটি টাকার বেশি মূল্যে এ কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। সংস্কারের কাজ আরম্ভ করেছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, শিল্প-কলকারখানার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অনুরোধ করব, যাতে করে তারা নিশ্চিত করে, এখানে যেন শুধু স্বচ্ছ পানি আসে। কোনোরকম কলকারখানার পয়োঃবর্জ্য, কলকারখানার দূষিত পানি যেন এ নর্দমায় না দেওয়া হয়। কারণ, এটা দিলে বুড়িগঙ্গার পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। কোনোভাবেই যেন কলকারখানার দূষিত পানি না দেওয়া হয়। এরকম যদি হয় তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব এবং সেসব কলকারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হব।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/ওএফ