বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ প্রগতিশীল, সৃজনশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন অগ্রপথিককে হারাল। তার একুশের অমর সেই গান বাঙালি জাতিকে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তির আন্দোলনে অসীম সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছিল। তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্ট। লেখনীর মাধ্যমে তিনি আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করে গেছেন।’

শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘তার মৃত্যু দেশের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। মরহুম আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী তার কালজয়ী গান ও লেখনীর মাধ্যমে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।’ 

রাষ্ট্রপতি মরহুম আবদুল গাফফার চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর শোক

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোক বার্তায় তিনি বলেন, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সুপ্রসিদ্ধ গানটি লিখে বাঙালির হৃদয় জয় করেছেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকারের শোক

বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।

স্পিকার মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

প্রধান বিচারপতির শোক 

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমানের পাঠানো এক শোকবার্তায় প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন  করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট  আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ এক শোক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর অবদান অবিস্মরণীয়।

ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এবং আমাদের মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে গাফ্‌ফার চৌধুরীর লেখনী বিশেষ করে, তার লেখা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গান এক অমর সৃষ্টি। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীন তার প্রকাশিত পত্রিকা ‘জয় বাংলা’ মুক্তিযোদ্ধাদের যথেষ্ট অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।’

তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক কলমযোদ্ধাকে হারিয়েছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি মরহুম আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঢাকার দুই সিটি মেয়রের শোক

বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এক শোকবার্তায় মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাঙালি জাতিসত্তার অর্জন, বিকাশ এবং সমুন্নত রাখতে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

শোকবার্তায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এক শোক বার্তায় বলেন, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী ভাষা আন্দোলনের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ এর রচয়িতা। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারে মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয় বাংলার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন।

শোকবার্তায় মেয়র আতিকুল ইসলাম মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

আইজিপির শোক

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

শোকবার্তায় আইজিপি বলেন, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিমাখা কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ রচনা করেছেন, যার মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

আইজিপি আরও বলেন, সাংবাদিকতায় তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন। সাহিত্যেও তার উপস্থিতি ছিল আলোকোজ্জ্বল। তার মৃত্যুতে আমরা এক নক্ষত্রকে হারালাম।

আইজিপি মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাবের শোক

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সংবাদ মাধ্যমে জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলমের পাঠানো এক শোকবার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান।

জাতীয় প্রেসক্লাব নেতারা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

বিমসের শোক

এদিকে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমস) চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী।

বিমসের পাঠানো এক শোক বার্তায় তিনি আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এস এন গোস্বামী বলেন, ‘বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এবং আমাদের মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর লেখনী বিশেষ করে, তার লেখা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গান এক অমর সৃষ্টি। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীন তার প্রকাশিত পত্রিকা ‘জয় বাংলা’ মুক্তিযোদ্ধাদের যথেষ্ট অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।’

তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক কলমযোদ্ধাকে হারালো।  তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) স্থানীয় সময় আনুমানিক সকাল ৭টায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ।

এএসএস/এইউএ/এনআই/এমএইচডি/এমএসি/এমএইচএন/আইএসএইচ