মো. নাজমুল হাসান

প্রথমে নারীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তারপর সেসব নারীদের প্রতারণা করে বিয়ে করেন। পরে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তোলে তা ইন্টারনেটে ছ‌ড়ি‌য়ে দেওয়ার হুম‌কি দি‌য়ে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিতেন মো. নাজমুল হাসান। স্ত্রীর এমন অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এই প্রতারক স্বামীকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নাজমুলের স্ত্রী এসব অভিযোগ জানান। তি‌নি উল্লেখ ক‌রেন, তার স্বামী এভাবে অনেক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে কেউ নাজমুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জের পৌর এলাকার সয়াধানবাড়ি এলাকা থেকে প্রতারক নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের এআই‌জি (মি‌ডিয়া অ্যান্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স) মো. সো‌হেল রানা জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে অভিযোগ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিএমপির শ্যামপুর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

শ্যামপুর থানা থেকে তাৎক্ষণিক ওই নারীর সঙ্গে যোগা‌যোগ ক‌রা হয়। পরে থানায় ওই নারীর লি‌খিত অভি‌যো‌গের প্রে‌ক্ষি‌তে শ্যামপুর মডেল থানা থেকে একটি টিম গঠন করা হয়। তথ্য প্রযু‌ক্তি ও নানা গো‌য়েন্দা কৌশল অবলম্বন ক‌রে অভিযুক্ত নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তারের জন্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।

কিন্তু, চতুর নাজমুল বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থা‌কে। পুলিশও পিছু ছাড়েনি। অবশেষে মঙ্গলবার তাকে সিরাজগঞ্জ জেলার সয়াধানবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল জানিয়েছে, সে ভার্চুয়াল রিলেশনের মাধ্যমে বি‌ভিন্ন মে‌য়ের সঙ্গে প্রতারণামূলক অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করত। এরইম‌ধ্যে কৌশলে তিনটি বিয়ে করেছে বলে স্বীকার করে। 

সিরাজগঞ্জের যে স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেখানেও এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে বলে স্বীকার করে নাজমুল। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

জেইউ/ওএফ