ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, খালগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ এবং অবৈধ দখলমুক্তের অভিযান চলমান রয়েছে। যত প্রভাবশালী হোক না কেন আমাদের কাজকে কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মান্ডা খালের (রাজধানীর বাসাবো ও মুগদা এলাকার পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম) চলমান বর্জ্য অপসারণ ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মেয়র তাপস বলেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকে খাল দখলমুক্ত এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছি। যতই প্রভাবশালী হোক না কেন কেউ আমাদের কাজকে ব্যাহত করতে পারবে না। শ্যামপুর খাল ১০০ ফুট ছিল, তা দখল হয়ে খালের মাত্র ৮ ফুট জায়গা আমরা পেয়েছিলাম। সেটি আমরা দখলমুক্ত করেছি, আরও কাজ চলছে। একই রকম অবস্থা প্রায় সব খালেরই। সব খালেই আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজ আমরা মান্ডা খালে এসেছি, এখানেও দেখতে পাচ্ছি নতুন করে কিছু দখল হয়েছে। আমরা আজ থেকে এখানেও ব্যবস্থা নেব।

ডিএসসিসি মেয়র জানান, এ পর্যন্ত অভিযানের ৪৫ দিনে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন বর্জ্য এবং মাটি আমরা খাল থেকে অপসারণ করেছি। ৩১ মার্চ পর্যন্ত আরও গতিশীলভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত করব। আমাদের লক্ষ্য বর্ষা মৌসুমে যেন বৃষ্টির পানি সঠিকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।

তাপস আরও বলেন, আমাদের এখন যে বড় প্রতিকূলতা দেখা দিয়েছে তা হলো, আমরা ওয়াসা থেকে যে পাম্প স্টেশন পেয়েছি সেগুলো অচল, আমরা এগুলো এখনও চালু করতে পারিনি। আমরা বিশেষজ্ঞ এবং কারিগরি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কাজ করাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা যদি পাম্প স্টেশনগুলো চালু করতে না পারি, তাহলে পানি নিষ্কাশন আমাদের জন্য দুরূহ অবস্থা হয়ে দাঁড়াবে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি, আশা করছি আগামী এপ্রিলের মধ্যে আমরা এগুলো চালু করতে পারব।

দক্ষিণ সিটি মেয়র আরও বলেন, আগামী মার্চের মাঝামাঝি গিয়ে আমাদের কাজের কৌশল এবং পরিকল্পনা কিছুটা ঢেলে সাজাব। সে সঙ্গে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম প্রসারিত করব। যদিও এই কার্যক্রম অত্যন্ত দুরূহ কাজ তবুও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই গতিতে যদি আমাদের কাজ চলমান রাখতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ্‌ জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই নিরসন হবে এবং ঢাকাবাসীকে জলবদ্ধতা থেকে মুক্তির সুফল কিছুটা হলেও দিতে পারব।

মান্ডা খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/জেডএস