পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি ছাড়া কারখানা পরিচালনার দায়ে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ শিল্পনগরের মক্কা ওয়াশিং ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামক ডাইয়িং, ওয়াশিং ও প্রিন্টিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কারখানাটির গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (২২ মে) পরিবেশ অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস। 

অভিযানের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস। 

তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ২০২১ সালের ২৯ মার্চ কারখানাটি সরেজমিন পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে দেখা যায় কারখানাসৃষ্ট তরল বর্জ্য কোন প্রকার পরিশোধন ছাড়া কারখানা সংলগ্ন ড্রেনে নির্গত করা হচ্ছে।  যা সংশ্লিষ্ট পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতিসাধন করছে। তাছাড়া কারখানাটির অনুকূলে পরিবেশগত ছাড়পত্রও নেই। এই অভিযোগে গত বছরের ৬ জুন কারখানাটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে ইটিপি স্থাপন করে তরল বর্জ্যের ফলাফল পরিবেশ অধিদপ্তরে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এরপর কারখানা কর্তৃপক্ষ ইটিপি স্থাপনের জন্য ২ মাস সময় চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গত বছরের  ১৪ জুন আবেদন করেন। কিন্তু ২ মাস অতিক্রান্ত হলেও ইটিপি স্থাপনে কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত বছরের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে তিন দফায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বরাবর পরিবেশ অধিদপ্তর নোটিশ দেয়।

পরিবেশে অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, তিন দফা নোটিশ দেওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত  ইটিপির ড্রয়িং, ডিজাইন দাখিল করেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ ইটিপি স্থাপনে কোন কার্যকরে পদক্ষেপ নেননি । 

তিনি বলেন, এ বছরের ১৮ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কারখানাটিতে আবারও সরেজমিনে পরিদর্শনকালে আগের চিত্রই দেখেন। বারবার সতর্ক করার পরও এবং সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার পরও সরকারি নির্দেশনা কোনরূপ তোয়াক্কা না করে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি ছাড়া কারখানা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতিসাধন অব্যাহত রাখেন।

যার ফলে আজ কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

অভিযানে বায়েজিদ থানা পুলিশ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বিটিসিএলের কর্মকর্তারা ছিলেন। 

কেএম/আইএসএইচ