তামাক পণ্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার ঊর্ধ্বে নিয়ে যাওয়া বিশ্বব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণের সর্বোত্তম গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দা অনন্যা রহমান।

সোমবার (২৩ মে) রাজধানীর ধানমন্ডি লেক এলাকায় তামাক নিয়ে জনসচেতনতামূলক স্বাক্ষর ক্যাম্পেইনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে তামাকজাত দ্রব্যের করবৃদ্ধি, শক্তিশালী তামাক কর নীতি প্রনয়ণ ও তামাক কর আদায় ব্যবস্থা আধুনিকায়নের দাবি জানান তিনি। 

সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যৌক্তিক পরিমাণে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি শক্তিশালী করনীতি প্রণয়ণের বিকল্প নেই। কিন্তু গত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে তার নূন্যতম প্রতিফলন ঘটেনি। বরং এ বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের নির্ধারিত মূল্য আদতে লাভবান করেছে তামাক কোম্পানিকে এবং সরকার হারিয়েছে বাড়তি রাজস্ব আয়ের সুযোগ। বর্তমান কর ব্যবস্থায় তামাকের চারটি স্তর থাকায় কর আরোপ এবং সরকারের রাজস্ব আদায়েও জটিলতার সৃষ্টি হয়।

৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে ত্রুটিপূর্ণ তামাক কর ব্যবস্থার পরিবর্তন করে তামাকের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে জনগনের দাবিকে আরও জোরাল ভাবে উত্থাপনের জন্য বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা), টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের (টিসিআরসি) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় জনসচেতনতামূলক স্বাক্ষর ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। 

ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন বাটা সচিবালয়ের প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকত মো. আরিফ হোসেন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের নেটওয়ার্ক অফিসার আজিম খান, টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের (টিসিআরসি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং বাংলাদেশের (আইডাব্লিউবি) পলিসি অফিসার আ.ন.ম মাসুম বিল্লাহ ভূঞা।

ক্যাম্পেইনে স্বাক্ষর প্রদান করেন ৩০০ জন অংশগ্রহণকারী। অংশগ্রহণকারীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন এবং জনস্বার্থকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে অতিদ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য তামাক করনীতি গ্রহণের দাবি জানান। এ বিষয়ে সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ তামাকের মতো একটি প্রাণঘাতী পণ্য নিয়ন্ত্রণে সফল হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

এমএইচএন/আইএসএইচ