অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ডাটা বা উপাত্ত সঠিক না হলে সব ধারণা ও পরিকল্পনা নষ্ট হবে। আগে শুমারি সঠিকভাবে না হওয়ায় আমাদের অনেক জনগোষ্ঠী না খেয়ে মারা গেছে।

তিনি বলেন, বিবিএস প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে ডিজিটাল জনশুমারি করতে যাচ্ছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। পরিসংখ্যান যদি ঠিক না থাকে, ডাটা যদি ঠিক না থাকে, তাহলে কোনভাবেই অর্থনীতিতে সঠিকভাবে কাজ করা যায় না।  

বুধবার (২৫ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর মাস্টার ট্রেইনারদের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দেশবাসীকে জনশুমারিতে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অনেক মনে করতে পারেন শুমারির পরে ট্যাক্স বাড়বে, খাজনা বাড়বে। অনেকে নানা কথা বলতে পারে। কেউ যেন ভুল তথ্য দিয়ে প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ব্যাহত না করতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। 
 
মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। এটি আমাদের কমিটমেন্ট। কাজটি করতে পারলে জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনীর মূল জায়গায় স্পর্শ করতে পারব। জাতির প্রধান চাওয়া ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি। জাতির পিতা আমাদের ভৌগোলিক মুক্তি দিয়ে গেছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। এই সুযোগ আমরা তাকে দিইনি। আজ প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করছেন।

তিনি বলেন, রেমিটেন্সের তথ্য সংগ্রহ করতে প্রথম সার্ভে করা হয়েছিল। তখন রেমিটেন্স আসে ১৪ বিলিয়ন ডলার। প্রণোদনা দেওয়ার ফলে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে। প্রণোদনা দেওয়ায় ১৮ বিলিয়ন থেকে রেমিটেন্স বেড়ে ২৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। চলতি বছরে এ বছর এ পর্যন্ত ২১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।

ভিডিও বার্তায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জনশুমারি প্রয়োজন। এটি কোভিড-১৯ এর কারণে দেড় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অতি সহজে অল্প সময়ের মধ্যেই এটি সম্পন্ন হবে। মাঠ ও উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে মনিটরিং করতে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় ও জেলা গণনা সমন্বয়কারীরা এ চারদিনে প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। আপনারা নিজেদের অধীনদের মধ্যে এ জ্ঞান ছড়িয়ে দেবেন। এটি জাতিসংঘের টেইসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক হবে। দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এখন কেউ খালি গায়ে না খেয়ে ভাঙা ঘরে থাকে না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন ও টেকনিক্যাল টিমের প্রধান ড. দিপংকর রায়।

এসআর/আরএইচ