বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ বেশি। তবে চাকরির উচ্চ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ কম। বুধবার (২৫ মে) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। 

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনারে ‘এক্সপোর্ট অ্যান্ড জেন্ডার গ্যাপ ইন ম্যানুফ্যাকচারিং এমপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএইচডি প্রার্থী মো.মনিরুজ্জামান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএস’র মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।

সেমিনারে জানানো হয়, শিল্পের কাছাকাছি অবস্থান করলে নারীদের কর্মে অংশগ্রহণ বেড়ে যায়। কারণ এখানে যাতায়াতের জন্য বাড়তি সময় ও শ্রম দিতে হয় না। সেই সঙ্গে ভাড়া বাবদ লাগে না বাড়তি অর্থও। ফলে নারীরা কাজ করতে সুবিধা বোধ করেন। এ কারণে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে নারী-পুরুষের ফারাক কম। 

এতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ বেশি। কিন্তু এটি আরও বাড়ানোর সুযোগ আছে। বিশেষ করে চাকরির উচ্চ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ কম। 

মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএইচডি প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে তৈরি পোশাক কারখানা থেকে অপেক্ষাকৃত দূরে বসবাস করা নারীরা কর্মসংস্থানে সুযোগ কম পায়। যে নারীরা কারখানার কাছাকাছি বসবাস করেন, তাদের শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ বা সম্ভাবনা বেশি। 

তিনি বলেন, রপ্তানিকেন্দ্রিক কারখানাগুলোর কাছাকাছি বসবাস শিল্প কর্মসংস্থানে লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেখা গেছে রপ্তানি কেন্ত্রিক কারখানায় কাজের সুযোগের ফলে নারী ঘন অ-রপ্তানি শিল্পে লিঙ্গ বৈষম্য নিসরসনে ভূমিকা রাখেন।

এসআর/আরএইচ