বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আগামীতে আঞ্চলিক সংগঠন গড়ে তোলা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলাপ করেছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার আসামের গৌহাটিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে নদী কনফারেন্সের সাইডলাইনে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ওই বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সোমবার (৩০ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেছি আঞ্চলিকভাবে কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিষয়ে। এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় আগামীতে আঞ্চলিক সংগঠন গড়ে তুলতে চাই। যাতে আমাদের সমস্যা আমরা ম্যানেজ করতে পারি।

এটি কোনো জোট হবে কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, এটা জোট হবে না। আমরা সার্ক করেছিলাম। পশ্চিমারা বলেছিল গরিবদের ক্লাব। আবার এখন এর দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। আমরা যদি ভালো করি তাহলে বাকিরাই আমাদের খেয়াল রাখবে।

ভারত থেকে বাংলাদেশের গম আমদানিতে বাঁধা নেই

সম্প্রতি ভারত গম রপ্তানি বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলেও এটি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর।

এ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, গৌহাটিতে যাওয়ার পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা হলো। তখন আমাদের সম্পর্কের ইমেডিয়েট ইস্যু ছিল গম। ভারত সরকার সম্প্রতি গম রপ্তানি না করার কথা জানিয়েছে। কিন্তু দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর আমাকে জানালেন, এটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য না। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও ভারত থেকে গম আমদানি করতে পারবে। তবে ভারত থেকে আমদানি করা গম অন্য কোনো দেশে পাঠানো যাবে না।

মোমেন-জয়শঙ্করের আলোচনায় ছিল পানি ইস্যু

গৌহাটিতে মোমেন-জয়শঙ্করের বৈঠকে তিস্তাসহ সবগুলো নদী নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা সবগুলো নদী নিয়েই আলাপ করেছি। আমরা বলেছি যে সবগুলো নদীই সচল চাই। আমরা চাই যে এই নদীগুলোর অববাহিকায় যত লোক থাকে তাদের মঙ্গলের জন্য যা প্রয়োজন তা করতে। এখানে আমরা কোনো প্রতিযোগিতা করতে চাই না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গৌহাটির নদী সম্মেলন খুব ভালো হয়েছে। আমরা সেখানকার বুদ্ধিজীবীদের কাছে নদী নিয়ে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি এবং তারাও বলেছে যে এগুলো যৌথভাবে সমাধান করতে হবে। নদী ইস্যুতে ভারত আসিয়ান দেশগুলোকেও সম্পৃক্ত করার কথা বলেছে। নেপাল, ভুটান, বিশেষ করে তারা (ভারত) মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডকে যুক্ত করতে চায় আর অর্থের জন্য তাকাচ্ছে সিঙ্গাপুরের দিকে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ট্রেন লাইন চালু নিয়েও জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ড. মোমেন।

এনআই/এসকেডি