চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১১ নং পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকের হোসেন চৌধুরী বাচ্চু বলেছেন, ‘আমি সরকারি দলের লোক, আমার তো সরকারি গুন্ডা আছে। আছে না? লাইসেন্সধারী! এরা কি এদের কাজ করবে নাকি আমি নির্দেশ দিলে আমার কাজ করবে?’

সোমবার (৩০ মে) বিকেলে পুঁইছড়ি প্রেমবাজারে নির্বাচনী পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

এদিকে তার দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জাকের হোসেন বাচ্চুর ফেসবুক ওয়ালে ২৭ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের নির্বাচনী প্রচারণা ও বক্তব্যের একটি ভিডিও দেখা গেছে। সেই ভিডিওতে জাকির হোসেন বাচ্চুকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবেন। এখানে যত বড় গুন্ডা হোক, যত বড় পয়সাওয়ালা হোক, বিন্দুমাত্র বিশৃঙ্খলা করতে পারবে না। আমি সরকারি দলের লোক। আমার তো সরকারি গুন্ডা আছে। আছে না? লাইসেন্সধারী! এরা কি এদের কাজ করবে নাকি আমি নির্দেশ দিলে আমার কাজ করবে? এখানে এত হুমকি-ধমকি ভয়-টয় আপনারা করবেন না। এগুলো আপনারা জানেন। আপনারা ভালোভাবে জানেন, এই এলাকায়, এই প্রেমবাজারে একসময় ডাকাতের অভয়ারণ্য ছিল। রাতে ডাকাতি করে দিনে এখানে জুয়া খেলত, এরা আওয়ামী লীগের নামধারী ছিল বলে। ওই সময়ে আওয়ামী লীগ নামধারী কিছু টোকাই ছিল।’

এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকের হোসেন চৌধুরী বাচ্চুর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন করে এবং এসএমএস পাঠিয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, তার বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আজ বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুঁইছড়ি ইউনিয়নের এক প্রার্থীর একটি ভিডিও লিংক আমরা পেয়েছি। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে শোকজ করা হচ্ছে। আজই তাকে শোকজ করা হবে। 

আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ।

এদিকে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীকে শোকজ করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে তার বিতর্কিত বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার (৩০ মে) বিকেলে তাকে শোকজের চিঠি দেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন মুজিবুল হককে গতকাল শোকজ করা হয়েছে। তাকে শোকজের জবাব দিতে বুধবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সাড়ে ৩টা পর্যন্ত শোকজের জবাব দেননি তিনি।

কেএম/এসকেডি