ডিপ্লোমা ও কারিগরি নার্সদের পাল্টাপাল্টি দাবি
ডিপ্লোমা নার্সরা মনে করেন নার্সিং সেবার মান রক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোনোভাবেই কারিগরি বোর্ডের অধীন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের নার্স হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থী নার্সরা অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে নার্সিং কাউন্সিল তাদের রেজিস্ট্রেশন করা থেকে বঞ্চিত করছে।
এমন পাল্টাপাল্টি দাবি ও অভিযোগ নিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ও সোনার বাংলা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করে। এসময় একপক্ষ পুলিশি বাধায়ও পড়ে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হচ্ছে— নার্সিং সেবার মান রক্ষা ও জনস্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোনোভাবেই কারিগরি বোর্ডের অধীনে পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের নার্স হিসাবে নিবন্ধন দেওয়া যাবে না; পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি সমমান করা যাবে না এবং গত ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে ব্যাচেলর অব নার্সিং সায়েন্স, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ছাত্র-ছাত্রীদের নির্ধারিত কম্প্রিহেনসিভ লাইসেন্সিং পরীক্ষার স্থগিতাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে কারিগরিমুক্ত কম্প্রিহেনসিভ লাইসেন্স পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধন চলাকালে প্রেসক্লাবের সামনে সোনার বাংলা নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন ব্যানারে উপস্থিত হয় কারিগরি বোর্ডের নার্সরা। এ সময় তাদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধনকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সোনার বাংলা নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে সচিবালয়ের দিকে পাঠিয়ে দেয়।
বিজ্ঞাপন
পরে সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধনকারীদের একজন সাজেদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের প্রথম দাবি ছিল নার্সিং লাইসেন্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে আদেশ দেন। আদেশ দেওয়ার পরেও নার্সিং কাউন্সিল আমাদের সেই পরীক্ষা বাতিল করেছে। আমাদের প্রশ্ন হল কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর আদেশের পরেও এ সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারে? এ বিষয়ে আমাদের পূর্বনির্ধারিত একটা প্রোগ্রাম আজকে এখানে ছিল। কিন্তু পুলিশ আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ আমাদের বলেছে, ‘তোমাদের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, তোমরা এখান থেকে চলে যাও।’
পরে শান্তিপূর্ণভাবে দুই গ্রুপই জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকা ত্যাগ করে।
এমএইচএম/এসএসএইচ