কুসিক ভোট : সাংবাদিক কার্ডের শর্ত জুড়ে ইসি’র পরিপত্র
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) ভোটে সাংবাদিক কার্ডের শর্ত জুড়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি’র জনসংযোগ পরিচালক ও যুগ্ম-সচিব এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এমন শর্ত দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভোটগ্রহণের দিনসহ বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকরা যেন সহজে নির্বিঘ্নে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য সহযোগিতা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে অবশ্যই নির্বাচনের সময়, ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনার সময় প্রযোজ্য বিধি-নিষেধ মেনে সবাইকে কাজ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, ভোটকেন্দ্রের সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সাংবাদিকদের বিশেষ কার্ড সরবরাহ করা হবে। রিটার্নিং অফিসাররা তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার এসব কার্ড ইস্যু করবেন। রিটার্নিং অফিসার সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সাংবাদিকদের কার্ড প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করতে পারবেন।
এ বিষয়ে ইসি’র যুগ্ম-সচিব এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, ঢাকা থেকে যেসব সাংবাদিক কুমিল্লা সিটি ভোটের নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে যাবেন, তাদের কার্ড নির্বাচন কমিশন থেকে ইস্যু করা হবে। সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত এবং অনুমোদনসূচক স্টিকার যুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মোটরসাইকেল ব্যবহারে কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘ্নে তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার করতে পারেন, সেজন্য কমিশন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে এসব নীতিমালা মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
যেসব বিষয় প্রতিপালন করতে হবে-
১. নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন তবে কোনোক্রমেই গোপন কক্ষের ছবি সংগ্রহ কিংবা ধারণ করতে পারবেন না।
২. একইসঙ্গে একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং ১০ মিনিটের বেশি ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করতে পারবেন না।
৩. ভোটকক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট বা ভোটারদের সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না।
৪. ভোটকক্ষের ভেতর থেকে কোনোভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
৫. ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে দূরত্বে গিয়ে করতে হবে। কোনোভাবেই ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে বাঁধার সৃষ্টি করা যাবে না।
৬. সাংবাদিকরা ভোট গণনা কক্ষে ভোট গণনা দেখতে পারবেন, তবে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না।
৭. ভোটকক্ষ থেকে ফেসবুকসহ কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা যাবে না।
৮. কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
৯. ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা প্রিজাইডিং অফিসারের আইনানুগ নির্দেশ মেনে চলবেন।
১০. নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।
১১. কোনো প্রকার নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না।
১২. নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারণা বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা হতে বিরত থাকবেন।
১৩. নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তার জন্য নির্বাচনী আইন ও বিধিবিধান মেনে চলবেন।
উপরোল্লিখিত নির্দেশনা পালন না করলে বা তার ব্যত্যয় ঘটলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন, বিধি ও কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
এসআর/এমএইচএস