তিন মাস আগে বিএম কনটেইনার ডিপোতে চাকরিতে ঢোকেন মমিনুল হক। আগুন লাগার পরপরই অর্থাৎ শনিবার রাত সাড়ে নয়/দশটার দিকে ছেলের সঙ্গে আমার প্রথম কথা হয়। প্রথমবার ছেলে ডিপোতে আগুন লাগার সংবাদ জানায়। তখন তাকে দূরে থাকতে বলেছিলাম। এর ১০ মিনিট পর ছেলে ফোন করে বলে, বাবা বিস্ফোরণে আমার একটা পা উড়ে গেছে। আমি মারা যাচ্ছি বাবা, আমাকে মাফ করে দিও। 

শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বসে ছেলের সঙ্গে বলা শেষ কথাগুলো এভাবেই ঢাকা পোস্টকে জানান নিহত মমিনুল হকের বাবা স্কুলশিক্ষক ফরিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ফোনে ওইটুকু কথা বলার পর লাইন কেটে যায়। রাত ১টার পরে এসে হাসপাতালে ছেলের লাশ পাই। 

তার সঙ্গে থাকা মুমিনুলের চাচাত ভাই তৈয়ব বলেন, আমাদের পরিবারের অনেক স্বপ্ন ছিল মুমিনুলকে নিয়ে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল।

চট্টগ্রামের মহসিন কলেজ থেকে বিবিএ শেষ করে এমবিএ করছিলেন মমিনুল হক। তিন মাস আগে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগ দেন তিনি।

কেএম/আইএসএইচ