ঘটনার পর সোবহান ভিডিও কলে বাড়িতে কথা বলে। আমি আরেকজনের লাইভেও ওকে দেখি। কথা বলার এক পর্যায়ে বিকট শব্দ শুনতে পাই। এরপর থেকে ওর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেনি। ফোন বন্ধ পাচ্ছি। কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের ভেতরে বসা নিখোঁজ আব্দুস সোবহানের (৩১) ভাই রায়হান উদ্দিন।

তিনি বলেন, আব্দুস সোবহান সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আইসিটি সুপারভাইজার হিসেবে ১৩ বছর ধরে কাজ করছেন। ঘটনার পর থেকে ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে সেখানে যাই। কিন্তু পেলাম না। এরপর আরও কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজ নিলাম। কোথাও নেই। এখন মেডিকেলে এসে অপেক্ষা করছি।

নিখোঁজ আব্দুস সোবহান চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরটেক ইউনিয়নের বাসিন্দা। বাড়িতে তার ৭ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে বিএম সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রোববার (০৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ এসেছে। এর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন। 

চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালকুদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানতে পেরেছি। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৩ কর্মী রয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

তিনি বলেন, আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত করে কারণ বের করা হবে।

নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বাঁশখালীর মমিনুল হক (২৪),  মো. মহিউদ্দীন (২৪), ভোলার হাবিবুর রহমান (২৬) ও বাঁশখালীর রবিউল আলম (১৯)। এ ঘটনায় অন্তত দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। আগুনে দগ্ধদের চমেকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরএইচ/এসপি