ধারালো অস্ত্রে রক্তাক্ত গৃহকর্মী ঢামেকে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি বাসা থেকে কুলসুম আক্তার (১৬) নামে এক গৃহকর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কুলসুমের শ্বাসনালী গভীরভাবে কেটে গেছে। তার অবস্থা গুরুতর।
বিজ্ঞাপন
পল্টন থানা পুলিশ জানিয়েছে, আহত ওই গৃহকর্মীর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায়। গৃহকর্মী কুলসুম নয়াপল্টনের ৭২ নম্বর ফারুক টাওয়ারের ১৫ তলায় গৃহকর্তা আমিনুল হক ও গৃহকর্ত্রী ফেরদৌসি আক্তারের বাসায় দুবছর ধরে কাজ করছেন।
আহত কুলসুমের গৃহকর্ত্রী ফেরদৌসি ঢামেকে সাংবাদিকদের জানান, রাতে সবাই ঘুমিয়েছিলো। সকালে কুলসুমের বানানো নাস্তা খেয়ে বাইরে চলে যান গৃহকর্তা আমিনুল। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বড় ছেলের স্ত্রী আকলিমা আক্তার প্রিয়া রান্নাঘরে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে থাকতে দেখতে পান কুলসুমকে। পরে কুলসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, কিভাবে ঘটনাটি ঘটল ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। কুলসুমের গলায় ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন ও শরীর রক্তে ভেজা ছিল। বাসার মেইন দরজা খোলা ছিল। বাইরে থেকে এসে কেউ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, কুলসুমের শ্বাসনালী গভীরভাবে কেটে গেছে। শ্বাস নেওয়ার জন্য গলায় একটি কৃত্রিম নল লাগানো হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমাদের পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আছেন। ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে, ঘরের নাকি বাইরের কেউ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জেইউ/আরএইচ